দেশের রেল নেটওয়ার্ক বদলে দেবে পদ্মা সেতু রেললিঙ্ক প্রকল্প। ঢাকা-যশোর ১৭২ কিলোমিটার রেলপথের কোথাও থাকছে না লেভেল ক্রসিং। দেশে উড়াল ও লেভেল ক্রসিংবিহীন প্রথম রেলপথ ব্যবহার করে রাজধানী থেকে যশোর পৌঁছাতে সময় লাগবে মাত্র পৌনে দুই ঘণ্টা।
পদ্মা সেতুর নিচতলায় পাথরবিহীন রেললাইন স্থাপন শুরু হবে। ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে ২০২৪ সালে। তবে আগামী ডিসেম্বরে মাওয়া-ভাঙা অংশে রেল চলাচল শুরুর টার্গেট নিয়ে কাজ চলছে।
পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের পরিচালক মো. আফজাল হোসেন বলেন, ‘প্রকল্পটি বর্তমানে সার্বিক কাজের অগ্রগতি প্রায় ৫৮ শতাংশ। এর মধ্যে ভাঙ্গা থেকে মাওয়া অংশে ৭৮ ও ঢাকা থেকে মাওয়া অংশে অগ্রগতি প্রায় ৫৫ শতাংশ। এছাড়া ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত অগ্রগতি ৫০ শতাংশ।’
তিনি আরও বলেন, ‘আগামী জুলাইয়ে পদ্মা সেতু হস্তান্তর করা হলে আমাদের মূল সেতুতে রেললাইন স্থাপনের কাজ শুরু হবে।
এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ সাশ্রয়ী, নিরাপদ এবং আরামদায়ক ভ্রমণ সুবিধা পাবেন। এ প্রকল্প সম্পন্ন হলে রেলপথে ঢাকা থেকে যশোরের দূরত্ব কমবে ১৯০ কিলোমিটার।’
পদ্মা বহুমুখী সেতুর প্রকল্প পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা যদি গ্যাস লাইন না করি, তাহলে দেব কী? আমাদের ধীরে ধীরে এগোতে হবে। একটার পর আরেকটা কাজ করতে হবে।’
পদ্মা সেতু রেললিঙ্ক প্রকল্পের পরামর্শক মেজর মো. ইশতিয়াক আল-আজম বলেন, ‘আপনারা জানেন, পদ্মা সেতুর নির্মাণ পরামর্শক হিসেবে কাজ করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। পুরো প্রকল্পের অগ্রগতি ৫৪ ভাগ ছাড়িয়েছে। আর মাওয়া থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত অগ্রগতি ৭৮ শতাংশের বেশি।’
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।